কাশীরাম দাস কি মহাভারতের হুবহু অনুবাদ করেছেন?

বেদব্যাসের মহাভারত হুবহু অনুবাদ করেছেন কোন কবি?

https://bekarchele7.blogspot.com/2020/07/has-kashiram-das-translated-the-mahavarat.html
Mohabharat / মহাভারত




               এর উত্তর হল না। তবে এর নেপথ্যে ও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। তবে এই উত্তরের এর নেপথ্যে ও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়।

১। কেন হুবহু অনুবাদ করলনা? বা অনুবাদ করার প্রয়োজনটা কেন পড়ল?

২। শুধু কি মহাভারতের ক্ষেত্রে নাকি রামায়নের ক্ষেত্রে ও অনুবাদের এই ধারা লক্ষণীয়?

৩। যদি হুবহু অনুবাদ না করেন তাহলে কি পরিবর্তন করলেন?


(বাকিটা ব্যাক্তিগত (মুভি) ও সত্যজিৎ রায়)


                      মূল মহাভারত বেদব্যাস লিখেছেন সংস্কৃত ভাষায়। সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে  দুর্বোধ্য সব সংস্কৃত শ্লোক। মহাভারত অনুবাদ করা হচ্ছে অন্ত- মধ্যযুগে অর্থাৎ (১৫০১-১৭৬০ সালের মধ্যে)। এর কয়েক শতক আগের হয়ে গেছে তুর্কি আক্রমন। বাঙালির পরিচিত জীবন যাত্রার জীবনশৈলী গেল বদলে। ঠিক এখান থেকেই শুরু হল অনুবাদ ও মৌলিক রচনার জোয়ার। রামায়ন, মহাভারত,ভাগবত, এর সাথে সাথে রচনা হতে থাকল মঙ্গলকাব্য। এই সমস্ত রচনা ও অনুবাদ বাঙালির জন জীবনে এক পরিবর্তন বলা ভালো ধর্মীয় পরিবর্তনের জন্য। এই ধর্মীয় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাঙালি সমাজ জীবনে ও বেশ কিছু পরিবর্তন ও এসেছিল। এর আগে পর্যন্ত শুধু মাত্র বাংলা ভাষায় ধর্মগ্রন্থ বলতে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।


(বাঙালি মেয়ের উপন্যাস বিদেশে সুপারহিট)


                 এবার কথা হল সাধারন বাঙালির জন জীবনে পরিবর্তন আনতে গেলে ও পরিবর্তন করতে গেলে দুর্বোধ্য সংস্কৃত শ্লোক নয় বোধগম্য বাংলাছন্দে বাংলাভাষায় লিখতে হবে। ঠিক তাই মহাভারতের হুবহু অনুবাদ না করে নিজের মত করে, বাঙালির মত করে অনুবাদ করতে হয়। এই অনুবাদকে বলা হয় "ভাবানুবাদ"। কৃত্তিবাসী 'রামায়ন' কিমবা মালাধর বসুর 'ভাগবত'ও একই রকম ভাবানুবাদ।


('শ্রীকান্ত জিচকর' ভারতবর্ষের সর্ব্বোচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি/The Most Educated Person In India)


                শুধু মাত্র ছন্দ, ভাষা, দুর্বোধ্যতা পরিবর্তন করা ও বিষয় বস্তু ও পরিবর্তন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে রামায়নের উদাহরন দিতে হয়। যেমন- মূল রামায়নে রাম ও সীতার মধ্যে খুব বেশি ভালোবাসার সম্পর্ক নেই। এমন কি রাম ও রাবনের যুদ্ধ হয়েছিল এই এই কারনে যে এক রাবন রামের স্ত্রী কে অপহরন করে তাই, এই নয় যে রাম সীতা কে ভীষণ ভালবাসে তাকে ছাড়া থাকতে পারেনা এসব। রাম বাংলা ভাষায় যেমন দেখান হয়েছে একদম আমাদের বাঙালিদের মত যে বউ চলে গেলে হা হা করে কাঁদে। কিন্তু মূল সংস্কৃতে রাম আর্য, ক্ষত্রীয় বীর। সে বউ য়ের জন্য কাঁদে না।

               ঠিক এই রকম পরিবর্তন ও আমাদের বাংলা মহাভারত অনুবাদ করার ক্ষেত্রে হয়েছে। একে বলে " প্রক্ষিপ্ত" অংশ।

               সুতরাং আমরা বলতেই পারিনা যে মহাভারত হুবহু অনুবাদ করেছেন। শুধু ঘটনা নিয়ে নিজের মত করে, সমকালীন সমাজের প্রয়োজনে প্রক্ষিপ্ত অংশ যোগ করে ভাবানুবাদ করেছেন।

মহাভারতের কথা অমৃত সমান

কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান



IF Any One Like Our Work,Our Blog Then Support Us On Google Pay - Our Google Pay UPI ID- roysuvajit057@oksbi


follow me :- https://bekarchele7.blogspot.com/



মহাভারত,বেকারছেলে,বেকার ছেলে,bekarchele,bekar chele, bekarchala, bekar chala

Previous
Next Post »