আমরা বাঙালী, "যতক্ষন শ্বাস, ততক্ষণ গ্রাস"/ Bengali New Year 1st Day for Us


আমরা বাঙালী, "যতক্ষন শ্বাস, ততক্ষণ গ্রাস"/ Bengali New Year 1st Day for Bangali



               ' খাদ্যরসিক বাঙালি ', 'পেটুক বাঙালি' এই নামে একটু অপবাদ থাকলে ও আমরা এটা কে Positive Way তে  নিতে ভালবাসি। আর নববর্ষের প্রথম দিন এই অপবাদের জনুন যেন মাথায় চেপে বসে। তা সে Lockdown হোক বা অর্থনৈতিক মন্দা। 'স্বভাব যায় না মলে' প্রবাদ টি সার্থকতা পায় যেন নববর্ষের প্রথম দিন। তা নববর্ষের প্রথমদিনে খাবার নিয়ে আমি সহ সমস্ত বাঙালী ঠিক কেমন থাকে তারই এক গল্প। এটা আমার গল্প।


আমরা বাঙালী, "যতক্ষন শ্বাস, ততক্ষণ গ্রাস"/ Bengali New Year 1st Day for Bangali



জলখাবার  (সকালে);-


                    রাত জেগেছি (এবার বোকার মত কেউ যেন জিজ্ঞেস করনা কেন রাত জেগেছি। আরে বাবা এই বয়স তাই একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম রাতে America তে, ঠিক আছে ঠিক আছে Naughty America) তাই ঘুম থেকে উঠবো কম করে ৯ঃ৩০ টায়। উঠেই Cheek করবো Facebook,Whats app আর যা যা আছে। কেউ করবে আজ পিকনিক, কেউ যাবে তার হবুর সঙ্গে সময় কাটাতে। আমার Plan অন্যরকম, আজ বাড়িতেই থাকব আর খাব। এর বেশি না কিছু করব ,না কিছু ভাবব। বাইরে করোনা থাক আর Lockdown আজ ভাবার দিন নয়। আজ 'আপনা কাম বানতা, ভার মে জায়ে জানতা। 


                   আজ দিনটা Wish  করার দিন। সবাই নানা রকম জ্ঞানমার্কা কথা বলবে। ভালো থাকিস, সুস্থ থাকিস, আজ যা করবি সারা বছর তাই হবে ব্লা ব্লা ব্লা। বিছানা ছেড়ে উঠে ও আজ চা এর দিক যাব না কারন আজ দিনটা আলাদা। ব্রাশ করতে করতে উকি দেব রান্না ঘরে।  কাল যে মাকে যে যে রান্নার Item; না না আজ Item বললে চলবে না যে যে পদগুলো (লিস্ট করে নিচে দিয়ে দিচ্ছি) করতে বলেছি করছে তো? Sure হয়ে তবেই শান্তি। খওয়ার সঙ্গে কোন আপোষ নয়।

●  গায়ে জবজবে তেল ছাড়া আলতো টোকায় ওপরের নরম চামড়া ফেটে ভুস করে গরম হাওয়া বেরিয়ে আসা ফুলকো ধবধবে সাদা লুচি।



তেল চুঁইয়ে পড়া লম্বা খোসাওয়ালা বেগুন ভাজা।



থিকথিক করা নারকোল কুচি, কাজুকিশমিস দেওয়া একটু মিষ্টি মিষ্টি ছোলার ডাল। ডালের বাটিতে একটা তেজপাতা থাকবে, ডাঁটি ধরে টেনে তুলে চেটে ফেলে দেব।



●  কড়কড়ে রকমের কড়াপাকের গোটা দুয়েক কালাকাঁদ শেষ করেই আড়াই হাজার টাকা কেজি দামের এক্সপোর্ট কোয়ালিটির বড় কাপের এক কাপ মন মাতানো সুগন্ধি দার্জিলিং টি নয় চা।

                              শান্তি, খেয়ে শান্তি। এত শান্তি যে আবার একটু ঘুমাতে হবে। ঠিক ঘুম নয় কানে হেড ফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে Rest করা আর কি। দুপুরের জন্য ও তো Ready হতে হবে। দুপুরের জন্য ও একটা লিস্ট দিয়েছি। ঠিক আছে সেটা ও না হয় আপনাদের জন্য দিয়ে দিলাম। 

                                  দেখে এসছি মা বেশ বিরক্তির সঙ্গে। ভ্রূ কুঁচকে রান্না করছে তার মানে আমার দেওয়া পদ গুলোই হচ্ছে। আর চিন্তা নেই, বেশি ভেবে কাজ ও নেই। টুক করে গিয়ে একটা ডুব দিয়ে আসি, দুপুরের জন্য একটা মানসিক প্রস্তুতি দরকার। এখন আবার একটু শুয়ে নিই। খাবার ডাকের জন্য অপেক্ষা করছি। তিন চারবার ডাকার পর তবে উঠবো, আর এমন ভাব করবো যে আমার আর খেতে ইচ্ছা করছে না, নেহাত মা তুমি জোর করছো তাই খাচ্ছি। আর খেতে বসে কব্জি ডুবিয়ে গান্ডে-পিন্ডে গিলবো।

দুপুরে, একটু বেলার দিকে :-

               Yes ,Finally অপেক্ষার অবসান। মন হালকা, পেট খালি, মেজাজ ফুরফুরে এবার জমিয়ে খাব, না না গিলবো।


মাছের মাথা ছাড়া পাগল করা সুগন্ধযুক্ত সোনামুগের ডাল ।



সৌরভের সঙ্গে যেমন সচিন...আর ডির সঙ্গে যেমন আশা, তেমনই সোনামুগের ডালের সঙ্গে কড়া, শক্ত, হাল্কা বাদাম কুচি আর সামান্য কাড়িপাতা মেশানো ঝিরঝিরে কাটা আলুভাজা।



চালটা দেরাদুন রাইস, সঙ্গে মাখোমাখো ঘিয়ের গন্ধ যুক্ত বড়ি, ছোট ছোট করে কাটা সজনে ডাঁটা যুক্ত শুক্তো।



মাঝারি মাপের কড়কড়ে চিংড়ি দিয়ে ঝালঝাল এঁচোড়চিংড়ি।  


গলদা চিংড়ির মালাইকারি, ভাপা ইলিশ আর ল্যাজা আর মুড়ো থালার বাইরে বেরিয়ে আসা গায়ে গ্রেভী লাগা গাবদা পাবদা মাছ।

কশা কশা ঝাল ঝাল পাঁঠার মাংস। ৮ পিসের কম খেলে পুলিসে ধরে!

●  খেজুর আমসত্ত্বের চাটনি হতে হবে মধুর মতো ঘন, লিকার চার মতো লালচে।

মাটির ভাঁড়ে লালচে আস্তরণ পড়া পুরু সরযুক্ত মিষ্টি দই।

এক কামড়ে শেষ করা যাবেনা, এইরকম পেল্লাই সাইজের সুগন্ধযুক্ত দুটো ধবধবে সাদা রসগোল্লা।

বরফের ওপরে শোওয়ানো খয়ের ছাড়া, ভিতরে কিশমিস আচার কাজু ঠাসা মিঠে পান।

                                 বাপরে কি খেলাম। আহা কি খেলাম জন্ম জন্মাতরে ভুলিব না। পেট ভরে এইরূপ ভক্ষনের পর ঠোঁটটা হাল্কা করে মুছে, গ্লাস দুয়েক ঠাণ্ডা জল পান করে, বিরাট একটা ঢেকুর তুলে বিছানায় যাওয়া। ব্যস, বেঁচে থাকো বঙ্গ সন্তান ! জীনা ইসিকা নাম” ! 



                              আর হচ্ছে না, বিকালে দইএর ঘোল কিমবা বেলের পানা খাব বলে এসছি এখন খুব কষ্ট হচ্ছে, না না খুব খেয়েছি তার জন্য নয়, সে তো আমি সুযোগ পেলে খাই। এই গরমে কষ্ট হচ্ছে। যাই পাখা ছেড়ে শুয়ে পড়ি। 

সকলকে শুভ নববর্ষ



(ভালো লাগলে ও ভালো না লাগলে Comment করে জানাতে পারেন।
আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ থাকলে তাও জানাতে পারেন।)

নববর্ষ-প্রথম- দিন.। ১৪২৭ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন,নববর্ষের প্রথম দিনে খাওয়া,১লা বৈশাখ ১৪২৭,কেমন কাটল ১লা বৈশাখ, কেমন হল খওয়া প্রথম দিন, ১লা বৈশাখে সকালে খওয়া,১লা বৈশাখে দুপুরে খওয়া,bengai, new year 1427/2020bengali new yrae 1st day,eating bengali new year ,bengali is new year 1427,যতক্ষন শ্বাস, ততক্ষণ গ্রাস,খাদ্যরসিক বাঙালি,পেটুক বাঙালি,আমরা বাঙালী, ami gorbit ami bangali,আমি গর্বিত আমি বাঙালী, we are proud to bangaliখেয়ে শান্তি,এঁচোড়–চিংড়ি,পাঁঠার মাংস,মিষ্টি দই,বাঙ্গালির খাওয়া,বেকারছেলে,bekarchele

Previous
Next Post »

2 Comments

Click here for Comments