7 Short Story About Einstein/ সাতটা অনুগল্প আইনস্টাইন সম্পর্কে
১।। রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইন
রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইনের সেবার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। রবীন্দ্রনাথ ঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকেরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, 'এইমাত্র আপনি একজন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বললেন, আপনার প্রতিক্রিয়া কী ?
রবীন্দ্রনাথ উত্তর দিলেন, 'আমি তো একজন বিশ্বখ্যাত কবির সঙ্গে কথা বললাম।'
এরপর সাংবাদিকরা আইনস্টাইনের সঙ্গে দেখা করে বলেন, 'আপনি একজন বিশ্বকবির সঙ্গে আলাপ করলেন, আপনার প্রতিক্রিয়া কী?'
আইনস্টাইন জবাব দিলেন, 'আমি কবির সঙ্গে কথা বলিনি, আমি একজন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলেছি।'
২।। আইনস্টাইনের দেশপ্রেম
শৈশবে তিন বছর বয়স পর্যন্ত আলবার্ট কথা বলতে শেখেননি। নয় দশ বছর বয়সেও তিনি কিছুটা থেমে থেমে কথা বলতেন। এতে পরিবারের লোকেরা যথেষ্ট চিন্তাগ্রস্ত হয়েছিলেন। তারা ভেবেছিলেন হয়ত আলবার্ট বড় হয়ে জড়বুদ্ধি সম্পন্ন হবে। তাছাড়া আলবার্ট ছিলেন খুব শান্তবিষ্ট লাজুক। অন্যান্য সমবয়সীদের থেকে আলাদা। খেলাধুলো, দৌড়ঝাঁপ তিনি বিশেষ পছন্দ করতেন না। ছেলেবেলায় অনেক সময়
বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে সৈন্যরা কুচকাওয়াজ করে বাজনা বাজিয়ে শোভাযাত্রা করে যেত। অন্য ছেলেরা এ দৃশ্য দেখার জন্য রাস্তার ধারে জমায়েত হতো। কোন ছেলেই বাদ যেত না। এর ব্যতিক্রম ছিলেন আলবার্ট। পরবর্তীকালে এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, সৈন্যদের কাজ হুকুমে যুদ্ধ করা। আর হুকুম তালিম করতে গিয়ে যুদ্ধে সাহসিকতা প্রমাণ করা। দেশপ্রেমের নামে যুদ্ধ করাকে আমি ঘৃণা করি।
৩।। আইনস্টাইন ও চার্লি চ্যাপলিন
১৯৩১ সালে চার্লি চ্যাপলিনকে আমন্ত্রণ জানালেন আইনস্টাইনকে। তখন সিটি লাইটস সিনেমার স্কিনিং চলছিল চ্যাপলিনের। তো যখন চ্যাপলিন ও আইনস্টাইন শহরের পথ ধরে যাচ্ছিলেন, অনেক মানুষ ভিড় জমায়।
আইনস্টাইন চার্লি চ্যাপলিনকে বললেন, "তোমার ব্যাপারটা আমার দারুণ ইন্টারেস্টিং লাগে। তোমার ছবিতে তুমি একটা কথাও বলো না, অথচ দুনিয়ার লোক বুঝে যায় তুমি কী বলছ। তারা চার্লি বলতে অজ্ঞান।"
"ঠিক," চ্যাপলিন বললেন । "কিন্তু তোমার ব্যাপারটা আরো বেশি ইন্টারেস্টিং। দুনিয়ার লোক আইনস্টাইন বলতে অজ্ঞান। সায়েন্টিস্ট মানেই আইনস্টাইন। অথচ তারা তুমি যা বলো, তার একবর্ণ বোঝে না।"
একেই বলে ভূবন জয় করা দুই মহামানবের সেন্স অফ হিউমার ..
৪।। অর্থ ও আইনস্টাইন
আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির প্রধান আলবার্ট আইনস্টাইনকে বেতন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় আইনস্টাইন বছরে ৩ হাজার ডলার দাবী করে বসলেন। টাকার অংক শুনে ভার্সিটির প্রধান চুপ হয়ে গেলেন। অন্যদিকে আইনস্টাইন ভাবছেন তিনি হয়তো প্রধানের কাছে কিছুটা বেশি বেতন চেয়ে বসলেন। অবশেষে ১৫ হাজার ডলারে আইস্টাইনের বেতন নির্ধারণ হলো।
৫।। থিওরি অফ রিলেটিভিটি ও সাধারন মানুষ
নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার পর আইনস্টাইন যখন সুইডেনের গোথেনবার্গে বক্তৃতা দিলেন তখন পত্রিকায় এক বিজ্ঞানগবেষক বললেন; এখানে দুই একজন বাদে অন্যকেউ আসলে বোঝেন নি আইনস্টাইনের “থিওরি অফ রিলেটিভিটি” । তবে এটা বুঝতে পারছি তিনি নতুন এক বিষয়ের দরজা খুলছেন মাত্র। আইনস্টাইন প্রথমবার আমেরিকায় যাওয়ার পর তার বন্ধুকে এক চিটিতে আক্ষেপ করে লিখছে; “থিওরি অফ রিলেটিভিটি” নিয়ে আমি ১৫ বছর কাজ করেছি মানুষ তা ১৫ সেকেন্ডে বুঝতে চায়। সবাই আমাকে দেখতে আসে মনে হয় আমি চিড়িয়াখানার কোন জিরাফ। “থিওরি অফ রিলেটিভিটি” জন্যে আইনস্টাইন নোবেল পান নাই আবার এই কাজের জন্যে তিনি পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়েছেন।
পাবলিকের যন্ত্রণায় তিনি শেষ পর্যন্ত মানুষকে “থিওরি অফ রিলেটিভিটি” বোঝাতে বলেছেন: তুমি যদি কোন মেয়ের সাথে এক ঘণ্টা বসে থাক তাহলে তোমার মনে হয় তুমি তার সাথে এক মিনিট ছিলে, অন্যদিকে চুলার উপর এক মিনিট বসে থাকলে মনে হয় এক ঘণ্টা বসে আছ। আমাদের কাছেও “থিওরি অফ রিলেটিভিটি” নারী আর চুলাতে গিয়েই ঠেকেছে।
৬।। আইনস্টাইন ও টেলিফোন নম্বর
আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন। আইনস্টাইন তখন একটি টেলিফোন বই খুঁজে বের করলেন এবং সেই বই থেকে তাঁর নিজের নম্বরটা খুঁজতে লাগলেন।
সহকর্মী তাকে বললেন, ‘কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নম্বরটাও মনে নেই আপনার।’
আইনস্টাইন বললেন, ‘না। তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্থ করে মস্তিস্ক খরচ করবেন কেন?’
৭।। আইনস্টাইন ও বিজ্ঞান
১৯৫২ সালে আইনস্টাইনকে নবগঠিত ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে, তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি রাজনীতির চেয়ে সমীকরণ বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রাজনীতি লেখা হয় বর্তমানের খসড়া খাতায় আর সমীকরণ লেখা থাকে মহাকালের অমর গ্রন্থে।’ এমনই বিজ্ঞান অন্তপ্রাণ ছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন।
বর্তমান ও আইনস্টাইন
ছোটবেলায় যখনই কেউ অঙ্কে ভালো করে বা বিজ্ঞানে তার প্রতিভা দেখায়, তখনই তাকে বলা হয় খুদে আইনস্টাইন। আর একটু বড় হলে, বিশেষ করে হাই স্কুলে বা কলেজে একই ভাবে বলা হয় তরুণ আইনস্টাইন। কেবল ভারতেই নয়, সারা বিশ্বের বেশির ভাগ বাবা-মাই তাদের সন্তানদের আইনস্টাইন বানাতে চান!
কেন? জবাবটা সোজা- বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন । বিশ্ব, সময় ও স্থান সম্পর্কে মানুষের হাজার বছরের ধারণাকে পাল্টে দিয়েছেন। সময়ের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং মনে করেন, কোনো একদিন আসবে, যে দিন সময়ের কিংবা দুনিয়ার সম্পূর্ণ ইতিহাস লিখে ফেলা যাবে চার পৃষ্ঠায়, আর তার তিন পৃষ্ঠা জুড়ে থাকবে কেবল আইনস্টাইনের নাম! কাজেই সব বাবা-মা যদি তাদের সন্তানকে আইনস্টাইন বানাতে চান, তাদের কি দোষ দেওয়া যায়?
কলমে- Lockdown এ bore হওয়া এক
বখাটে
(ভালো লাগলে ও ভালো না লাগলে Comment করে জানাতে পারেন।
আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ থাকলে তাও জানাতে পারেন।)
আইনস্টাইনকে নিয়ে কিছু গল্প,some funny short story about Einstein,সাতটা অনুগল্প আইনস্টাইন সম্পর্কে,7 Short Story About Einstein,Einstein in bengali,রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইন,Einstein and rabindranath,আইনস্টাইনের দেশপ্রেম,আইনস্টাইন ও চার্লি চ্যাপলিনEinstein and charlie chaplin, অর্থ ও আইনস্টাইন,economy and Einstein,থিওরি অফ রিলেটিভিটি ও সাধারন মানুষ, theory of relativity,আইনস্টাইন ও টেলিফোন নম্বর,বর্তমান ও আইনস্টাইন,present time and Einstein2020 and Einstein,bengali and Einstein,fact about Einstein,unknown fact about Einstein,funny story and Einstein,আইনস্টাইন কে নিয়ে চমৎকার হাসির গল্প, hasir golpo ainstain,বেকারছেলে,bekarchele
ConversionConversion EmoticonEmoticon