Art-Artist,Creativity and Irfan khan / আর্ট-আর্টিস্ট এবং ইরফান খান


একটা স্বাধীন জীবন হল জীবন যাপনের একমাত্র রাস্তা। স্বাধীনতাই হল জীবন যাপনের মূল ভিত। দ্বিতীয় সমস্ত রকমের জীবন, সমস্ত রকমের বাঁচা ‘অর্ধেক বাঁচা’ (ইরফান খান)


Art-Artist,Creativity and Irfan khan / আর্ট-আর্টিস্ট এবং ইরফান খান
a piece of paper can not decided future of a student



        তিল তিল, মরে মরে বাঁচার অনেকরকম Way আছে আজকের সমাজে। কিন্তু ‘জুনুন’ কিছু করার, কিছু হওয়ার ‘জুনুন’ নিয়ে বেঁচে থাকার মানুষ আর মানসিকতার যেমন অভাব আছে তেমন ‘জুনুন’ নিয়ে বেঁচে থাকার রাস্তা ও কম।

        অতীতে একটা সময় ছিল যখন Artist, শিল্পি বা কোন রকম রচনাত্মক ক্ষমতার আধিকারি হওয়ার অর্থ ছিল বিদ্রোহী হওয়া Creativity নিজের মধ্যেই এক ভীষণ বড় বিপ্লব। যদি মনের মধ্যে কিছু করে দেখানর সাহস, হিম্মত, জোশ থাকে? যদি সমাজকে প্রচলিত ধ্যান-ধারণা, রীতি-নিয়ম থেকে মুক্ত করে পরিবর্তন আনতে চায়, তাহলে শৈশবে মুখস্ত করা সামাজিক রীতি নীতি, নিয়ম ভুলতে হবে। নয়তো লেখকের লেখা আর কিছুই হবে না চুরি করা শব্দ ছাড়া, ছবি আর কিছুই হবে না কালির আঁচর ছাড়া। পরিচয় হবে আর পাঁচটা প্রচলিত পথে হাঁটা শিল্পীর মত Carbon Copy.

        প্রচলিত ধ্যান-ধারণা আর সমাজ প্রচলিত নীতি নিয়মের মধ্যে থেকে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। প্রচলিত সনাতন মানসিকতা কখন ও Creativity এর জন্ম দিতে পারে না। যেটার জন্ম দেয় তা হল একদম নিরস আর যান্ত্রিক জীবন। যে নাচে ও না, গায় ও না, হাসে ও না। শুধু থাকে ধুতি খুলে দৌড়নো।

         যদি ও এই সমাজে কিছু জিনিস পাওয়া যায় ওই প্রচলিত সনাতন যান্ত্রিক জীবন যাপনে অভস্ত হলে। সম্মান, প্রতিপত্তি পাওয়া যায়। মহাবিদ্যালয়, বিস্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাওয়া যায়Gold Medal দিয়ে এমন একটা সমাজের অংশীদার করে নেওয়া হয় যেখানে প্রশ্ন তোলার মত কথা, প্রচলিত এর বাইরে পা ফেলার পথ কোনটাই নেই।


Art-Artist,Creativity and Irfan khan / আর্ট-আর্টিস্ট এবং ইরফান খান


         কিন্তু এ সমস্ত সম্মান এক তৃতীয়াংশও ধোঁকা, খোকলা, ফাঁপা। এক সত্যি সত্যি Creative মানুষ এগুলোর মুখে পা ছুরে মারে।

         রাষ্ট্রকে, ক্ষমতাকে করা সেবার পরিবর্তে পাওয়া এই উপহার গুলি আসলে একপ্রকার ঘুষ, যা একজন আজ্ঞাকারি ভাল গোলামে পরিনত করে। সবসময় দুনিয়ার দেখানো, প্রচলিত রাস্তায় চলবে।

        কিন্তু রচনাত্মক ক্ষমতার অধিকারি যে দুনিয়ার দেখনো, প্রচলিতের পথে গা ভাসাবে না। নিজের রাস্তা খোঁজার জন্য জীবনের জঙ্গলে তাকে হারিয়ে যেতে হবে। সঙ্গী হিসাবে বেছে নিতে হবে একাকীত্বকে। প্রচলিত পথে আলো জ্বালানো স্কুলের পড়া মাঝপথে ছাড়তে হবে।

         অতীতের Artist তা সে Painter, Dancer, Musician, Poet যাই হোক, তাদের জন্য জরুরি ছিল সামাজিক জীবন আর সম্মান কে ছেড়ে এক স্বাধীন জীবন যাপন করা। এক বহেমিয়া জীবন। Creative হওয়া তখনই সম্ভব। সবটাই Creativity থেকে Humanity পর্যন্ত যাওয়ার এক Journey মাত্র।

        এই Art – Artist সকলেই আমাদের কেউ সৌন্দর্যের পথে, কেউ চেতনার পথে, কেউ মনুষ্যত্বের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। সমস্ত শিল্প আমি মনে করি শেষ পর্যন্ত যা বলে তা হল Humanity.. আর মনুষ্যত্বের জয় তো সেই দিনে হবে যেদিন মানুষ কে প্রশ্ন তোলার জন্য পুরস্কৃত করা হবে। এই মনুষ্যত্ব এখন ও জন্ম নেয়নি। মনুষ্যত্ব এখন ও গর্ভাবস্থায়। মনুষ্যত্বের নামে আমরা এখন যা দেখি তা এক ছদ্মবেশ মাত্র। সিরিয়া- ইরাক এর মত ঘটনা গুলো আমাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।

Previous
Next Post »